প্রায় এক মিলিয়ন একরের বায নওয়াভযো ইতা’হ কুকভেনি গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন ন্যাশনাল মনুমেন্টে থাকবে হাজারো আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।
স্টেইটের বিখ্যাত অঞ্চলে মনুমেন্ট নির্মাণের অনুমোদনে প্রাকৃতিক সম্পদের খনির সন্ধানে ভূমি খননের পরিমাণও কঠোরভাবে সীমিত হবে।
অঞ্চলটিকে ন্যাশনাল মনুমেন্ট ঘোষণার কারণে নির্ধারিত সীমার ভেতর শুধু দুটি অনুমোদিত খনিতে খনন কাজের অনুমতি দেয়া হবে। সেই সঙ্গে ২০১২ সালে ঘোষিত ভূমি খনন স্থগিতাদেশের অন্য দাবিগুলোও বহাল থাকবে।
এই অঞ্চলটি গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের অ্যানসেস্ট্রাল ফুটপ্রিন্টস নামেও পরিচিত। গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন হোপি, নাভাজো ও ইয়াভাপাই- অ্যাপাচি আদিবাসী জনপদসহ দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমের বহু আদিবাসী জনপদের সংস্কৃতির জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
ইন্ডিজেনাস অ্যাডভোকেসি গ্রুপ ও পরিবেশবাদি সংগঠনগুলো কয়েক দশক ধরে এই অঞ্চলটিকে সুরক্ষা দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন। তবে কয়েকজন রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা ও মাইনিং ইন্ডাস্ট্রির হর্তাকর্তাদের বিরোধিতার মুখে হাজার বছরের ইতিহাসের সাক্ষী গ্র্যান্ড ক্যানিয়নকে পর্যাপ্ত সুরক্ষা দেয়া সম্ভব হয়নি।
রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের দাবি, এ অঞ্চলের খনি অ্যামেরিকান অর্থনীতি ও ন্যাশনাল সিকিউরিটির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
কর্মকর্তাদের মতে, অ্যামেরিকার ইউরেনিয়াম মজুদের প্রায় ১.৩ শতাংশই রয়েছে মনুমেন্ট অঞ্চলে।
সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংস্থা গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন অঞ্চলকে ন্যাশনাল মনুমেন্ট অঞ্চল হিসেবে ঘোষণার আবেদন জানায়। তবে সাবেক গভর্নর ডগ ডুসি ও অ্যারিযোনার দুই সেনেটরের তীব্র বিরোধিতার মুখে ওবামা সে প্রচার থেকে সরে যান।
স্টেইটের বর্তমান গভর্নর কেটি হবস ১৯০৬ সালের অ্যান্টিকুইটিস অ্যাক্টের অধীনে প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে তার ক্ষমতা ব্যবহার করে এলাকাটিকে ন্যাশনাল মনুমেন্ট হিসেবে ঘোষণা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
অ্যামেরিকার প্রথম নেইটিভ অ্যামেরিকান ক্যাবিনেট সেক্রেটারি ও ইন্টেরিয়র সেক্রেটারি ডেব হ্যাল্যান্ড এ ঘোষণাকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে অভিহিত করেছেন।
হবস গত মে মাসে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এ ঘোষণা বহু আদিবাসীকে এ অঞ্চলের সঙ্গে আত্মিক সংযোগের সুযোগ করে দেবে। আদিবাসীরা তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান, শিকার, উদ্ভিদ, ওষুধ ও অন্য উপকরণ সংগ্রহের জন্য অঞ্চলটি আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যবহার করতে পারবে।’
