এসব এলাকার কয়েক মিলিয়ন বাসিন্দা বুধবার ঘুম থেকে উঠে দেখেন ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন আকাশ। ঝাঁঝালো বাতাসে অনেকের চোখে পানি চলে আসছিল।
নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিনে সকালে অনেককেই ফেইস মাস্ক পরে বের হতে দেখা গেছে। টাইমস স্কয়ার ও স্ট্যাচু অফ লিবার্টির আশপাশ ছেয়ে গেছে ঘন ধোঁয়া।
নিউ ইয়র্ক সিটির চিকিৎসকরা জানান, কয়েকদিন ধরে ঝাঁঝাল বাতাসের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়া রোগির সংখ্যা বাড়ছে।
এনভায়রনমেন্টাল প্রটেকশন এজেন্সির এয়ার কোয়ালিটি সূচকে এর মান স্থানীয় সময় বুধবার সকালে ১৫১-২০০ এর ঘরে দেখা গেছে।
সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামস মঙ্গলবার রাতে বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, নিউ ইয়র্কের বেশ কিছু এলাকার বাতাস খুবই অস্বাস্থ্যকর হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, ‘বুধবার দুপুরে ও সন্ধ্যায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা আছে… ডিপার্টমেন্ট অফ এনভায়রনমেন্টাল কনযারভেশন শহরজুড়ে এয়ার কোয়ালিটি হেলথ অ্যাডভাইযরি চালু করেছে…
‘নিউ ইয়র্কারদের প্রতি আমি অনুরোধ জানাচ্ছি যে বাইরের কার্যক্রম যতটা সম্ভব কমিয়ে ঘরে থাকুন। শ্বাসতন্ত্রের সমস্যার রোগী, শিশু ও বয়স্কদের অবশ্যই এ সময় ঘরে থাকা উচিত।’
ক্যানাডার দাবানল সবচেয়ে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে কিউবেক ও নোভা স্কশিয়ায়। সেখানে প্রায় ১৪ হাজার মানুষকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
আর এর প্রভাবের কারণে অ্যামেরিকার ওহাইও ও মিযৌরি থেকে নর্থ ক্যারোলাইনা পর্যন্ত কয়েক দফা বিভিন্ন এয়ার কোয়ালিটি অ্যালার্ট জারি করেছে এনভায়রনমেন্টার কোয়ালিটি কর্তৃপক্ষ।