বঙ্গবন্ধুর বড় মেয়ে শেখ হাসিনা দুইবার পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। প্রথমে সরকার প্রধান এবং পরে ক্ষমতাসীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে।
এর পর তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতির স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্টের ভয়াল রাতে কিছু বিপথগামী সেনাসদস্য বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে হত্যা করে।
সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল এ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদান করে এবং সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর স্মরণে বিউগল বাজায়।
বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীও সুরা ফাতেহা পাঠ করেন।
তিনি বঙ্গবন্ধু, তার স্ত্রী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছো মুজিব, তাদের তিন ছেলে এবং ১৫ অগাস্টের গণহত্যার অন্যান্য শহীদদের বিদেহী আত্মার চিরশান্তি কামনা করে মোনাজাত করেন।
এ সময় স্পিকার, মন্ত্রিসভার সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান, আইজিপি ও প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া জাতির অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
এরপর আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে নিয়ে শেখ হাসিনা তার দলের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মাজার প্রাঙ্গণে মন্ত্রিসভার সদস্য, দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীও মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে যোগ দেন।
শেখ হাসিনার টুঙ্গিপাড়া থেকে হেলিকপ্টারে বিকেল ঢাকায় ফেরেন শেখ হাসিনা।
জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ও ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে আলাদাভাবে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতারাও সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এর আগে, জাতীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সকাল ১১টা ৩৫ মিনিটে হেলিকপ্টারে করে বঙ্গবন্ধুর পৈতৃক নিবাস টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বনানী কবরস্থানে গিয়ে ১৫ অগাস্টের গণহত্যার শহীদদের কবরে ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে ফাতেহা পাঠ করেন এবং মোনাজাতে যোগ দেন।
