দেশটির উত্তর-পশ্চিম বাযাউর জেলায় রোববার বিকেলে এ হামলা হয়। বাযাউরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছেন। সেখানে চলছে উদ্ধারকাজ।
জিও টিভির প্রতিবেদন জানিয়েছে, সমাবেশকে লক্ষ্য করে আত্মঘাতি বোমা হামলা চালানো হয়েছে।
খাইবার-পাখতুনখোয়া পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) আখতার হায়াত খান জানান, প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে এটি আত্মঘাতি হামলা ছিল, ১০ কেজি ওজনের বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল। বিস্তারিত তদন্তের জন্য ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করা হচ্ছে।
স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রচার হওয়া ছবিতে দেখা গেছে, আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী বাযাউরের ঘটনাস্থল থেকে আহতদের অ্যাম্বুলেন্সে করে চিকিৎসার জন্য নেয়া হচ্ছে। স্থানীয় হাসপাতালগুলো আহতদের জায়গা ও চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে।
জেলাজুড়ে স্বাস্থ্যের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
পাকিস্তানের সংবাদপত্র ডন-এর ওয়েবসাইটে বাযাউর জেলার ইমার্জেন্সি অফিসার সাদ খানের বরাতে বলা হয়েছে, জামিয়াত উলেমা-ই-ইসলাম-ফাজলের (জেইউআই-এফ) শীর্ষ আঞ্চলিক নেতা তেহসিল খান আমির মওলানা জিয়াউল্লাহ এই বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন।
জামিয়াত উলেমা-ই-ইসলাম-ফাজল-এর মুখপাত্র আব্দুল জলিল খান জানান, সমাবেশে মাওলানা লায়েক বক্তব্য দেয়ার সময় বিকেল ৪টার দিকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ঘটনার তদন্ত ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন।