ফেভারিট ব্রাজিলকে বিদায় করে দেয়া জ্যামাইকার দিকে পুরো বিশ্বের দৃষ্টি এখন। ফুটবল শৈলির কারণে ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের দলটি যখন প্রশংসায় ভাসছে, তখন এবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে দলটির সাফল্যের পেছনের গল্প।
এবিসি নিউজ জানিয়েছে, বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব উতরানোর পর জ্যামাইকা নারী দলের বিশ্বকাপে অংশ নিতে আর্থিক খরচ মেটাতে চালু করা হয়েছিল দুটি ক্রাউড ফান্ডিং ক্যাম্পেইন।
জ্যামাইকার মিডফিল্ডার হাভানা সোলনের মা স্যান্ড্রা ফিলিপস-ব্রাউয়ার ক্রাউড ফান্ডিং ওয়েবসাইট গো ফান্ড মিতে ‘রেগে গার্লজ রাইজ আপ’ নামে একটি পেইজ খোলেন। যেখানে খেলোয়াড়দের জন্য ৫০ হাজার ডলার সংগ্রহ করেন স্যান্ড্রা। এখান থেকে দলটি তাদের টুর্নামেন্ট চলাকালীন খরচ মেটাতে পারবে বলে আশা করছেন তিনি।
জ্যামাইকার এনজিও ‘দ্য রেগে গার্লস ফাউন্ডেশন’ আরেকটি ক্রাউড ফান্ডিং ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে দলের থাকা, যাতায়াত, প্লেনের টিকিট, খাবার ও অন্যান্য খরচ মেটাতে ৪৫ হাজার ডলার সংগ্রহ করে।
এপি জানিয়েছে, নিজেদের পারিশ্রমিক ও টুর্নামেন্ট চলাকালীন থাকা-খাওয়া, অনুশীলন ও আনুষাঙ্গিক খরচের জন্য তহবিল বাড়াতে জ্যামাইকান ফুটবল ফেডারেশনকে বার বারই অনুরোধ করে এসেছে।
এবিসি নিউজ এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য ফেডারেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা কোনো জবাব দেয়নি।
বিশ্বকাপে জ্যামাইকার পরের ম্যাচ ৮ আগস্ট, গ্রুপ এইচের জয়ী দলের বিপক্ষে।