থাইল্যান্ডের পরিবহন মন্ত্রী সুরিয়াহে জুয়াংরুংরুয়াংকিটের বরাত দিয়ে বিবিসি নিউজ জানিয়েছে, বাসে থাকা ১৬ জন শিশু ও তিনজন শিক্ষক বের হতে সক্ষম হলেও এখনও ২২ জন শিক্ষার্থী ও তিনজন শিক্ষক নিখোঁজ রয়েছেন।
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পায়েতংতার্ন সিনাওয়াত্রা মন্ত্রীদের ঘটনাস্থল পরিদর্শনের নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘একজন মা হিসেবে আমি নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর দুঃখ প্রকাশ করছি।
প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, আহতদের চিকিৎসার সব ব্যয় ও ক্ষতিপূরণের দায়িত্ব সরকারের।
কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের কথা নিশ্চিত করলেও নিহতের সঠিক সংখ্যা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এছাড়া বাসে থাকা শিশুদের বয়স এখনও স্পষ্ট নয় তবে স্কুলটিতে তিন থেকে ১৫ বছর বয়সী শিক্ষার্থী ছিল।
প্রকাশিত একটি ছবিতে দেখা যায়, আগুনে বাসটি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে গেছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে অতিরিক্ত গরমের কারণে গাড়ির ভেতরে ঢুকতে পারেননি তদন্তকারীরা।
বাসের সামনের দিক থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় জানিয়ে তল্লাশি অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া পিয়ালাক থিঙ্কিয়ু ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেছেন, নিহতদের মৃতদেহ এত বেশি পুড়ে গেছে যে তাদের শনাক্ত করা কঠিন ছিল।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, বাস থেকে বেঁচে ফেরা ১৯ জনের মধ্যে আটজনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
থাইল্যান্ডের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আনুতিন চার্নভিরাকুল ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেছেন, বাস চালক দুর্ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেছে তবে কর্তৃপক্ষ তাকে অবশ্যই খুঁজে বের করবে।
এই দুর্ঘটনাকে খুবই দুঃখজনক উল্লেখ করে ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের সুরিয়াহে জানিয়েছেন, বাসটিতে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ কমপ্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস (সিএনজি) ব্যবহার করা হয়েছিল।
তিনি বলেছেন, মন্ত্রণালয়কে অবশ্যই এই গ্যাসের ব্যবহাররের ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট পরিমাপ নির্ধারণ করতে হবে। এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ তাই সম্ভব হলে যাত্রীবাহী যানবাহনের জন্য এই ধরনের জ্বালানী ব্যবহার নিষিদ্ধ করা উচিত বলে মনে করেন সুরিয়াহে।