গবেষণাটি অ্যামেরিকান রক ব্যান্ড ব্লন্ডির ড্রামার ক্লেম বার্কের ড্রামিং প্রজেক্টের মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়। গবেষণাটির আর্থিক সহায়তা দিয়েছে ওয়াটারলু ফাউন্ডেশন চ্যারিটি।
বার্কের দাবি, ‘গবেষোণাটি ড্রামিং সম্পর্কে মানসিক চেতনাকে জাগ্রত করে’।
গবেষক দলের সদস্য ডাক্তার রুথ লোরি বলেন, ‘ড্রাম বাজানোয় তাদের আচরণগত ও মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে বেশ কিছু পরিবর্তন আমরা লক্ষ্য করেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি যারা ড্রাম বাজানো শিখেছে তারা ভুল করতে ভয় পায় না। তারা ড্রাম বাজানোর সময় যখন ভুল করে তারা থেমে যায় ও আবার নতুন করে শুরু করে। আমরা আরও লক্ষ্য করেছি এই প্রবণতা তারা অন্য কাজের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করছে। তারা স্কুলের যে কোন পরিস্থিতিতে ভয় কাটাতে পারছে। তাদের মধ্যে ব্যর্থতার ভয় কম কাজ করে।’
আট সপ্তাহ ধরে ৩৬ জন অটিজমে আক্রান্ত কিশোর-কিশোরীকে নিয়ে এ গবেষণা করা হয়। গবেষণায় কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ড্রাম বাজাতে দেয়া হয় ও কয়েকজন শিক্ষার্থীকে দেয়া হয় না।
এরপর তাদের এমআরআই স্ক্যান করে দেখা যায়, যারা ড্রাম বাজিয়েছে তাদের মস্তিষ্ক অনেকগুলো অঙ্গকে একসঙ্গে কাজ করার সংকেত দেয়।
বৃটেইনে ১.৫ মিলিয়নেরও বেশি বিশেষ শিক্ষা চাহিদা সম্পন্ন স্কুল শিক্ষার্থী রয়েছে। ইতোমধ্যে গ্লস্টার, ফরেস্ট অফ ডিন, লিভারপুল, বেডফোর্ডশায়ার ও ওয়েস্ট সাসেক্সের পাঁচটি স্কুলে সহ শিক্ষা হিসেবে ড্রামিংকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বার্ক ইংল্যান্ডের ন্যাশনাল কারিকুলামে ড্রামিংকে অন্তর্ভুক্ত করতে চান। তিনি বলেন, ড্রাম শেখা শিশুদের জন্য ব্যপক পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে। শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশে এটি খুব ইতিবাচক উপায়।
এক্সেস ইউনিভার্সিটির ড্রামিং এর শিক্ষক অ্যান্ড্রু ফ্রাংকলিন বলেন, শুধু অটিজমে আক্রান্ত শিশুরাই নয় যেকোনো বয়সের যে কেউ ড্রামিং এর মাধ্যমে উপকৃত হতে পারেন।
গবেষণাপত্রটি গত বছর প্রসিডিংস অফ দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস জার্নালে প্রকাশিত হয়।