নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ স্যোশালে পোস্ট দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, স্পেশাল কাউন্সেল জ্যাক স্মিথের কাছ থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি পেয়েছেন।
ট্রাম্প লিখেছেন, ‘জো বাইডেনের ডিওজের (জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট) প্রসিকিউটর উন্মাদ জ্যাক স্মিথ চিঠি পাঠিয়েছেন (আবার, রোববার রাতে)। তাতে লেখা যে আমি ৬ জানুয়ারির ঘটনায় গ্র্যান্ড জুরির তদন্তের লক্ষ্য হয়েছি। আমাকে গ্র্যান্ড জুরিতে রিপোর্ট করার জন্য কেবল চার দিনের সময় দেয়া হয়েছে। বরাবরের মতো এবারও এর মানে হলো, গ্রেফতার ও অভিযুক্ত করা হবে।’
তবে এ বিষয়ে স্পেশাল কাউন্সিলের মুখপাত্রের কাছ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের আইনের অধীনে প্রসিকিউটররা তদন্তের আওতায় আনা ব্যক্তিকে আগেই বিষয়টি জানাতে পারেন। চিঠি পাওয়া ব্যক্তি তখন ধরেই নেন যে তাকে সংশ্লিষ্ট ঘটনায় অভিযুক্ত করা হচ্ছে। তবে গ্র্যান্ড জুরির কাছে রিপোর্ট করা মানেই যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অভিযুক্ত করা হবে তা নয়। উল্টো ঘটনা ঘটারও সম্ভাবনা থাকে।
এ ধরনের চিঠি পাঠানো আবশ্যক নয়। তবে তদন্তের আওতায় আনা ব্যক্তিকে গ্র্যান্ড জুরির সামনে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ নিয়ে উপস্থিত হওয়ার সুযোগ দিতে সাধারণত প্রসিকিউটার এ পদক্ষেপ নেন।
ট্রাম্প ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের নির্বাচনের পর জো বাইডেনের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার ও নির্বাচনি ফল বাতিলের প্রচেষ্টার অভিযোগ তদন্ত করছিল স্পেশাল কাউন্সিলের টিম। অভিযোগ ছিল, ট্রাম্পের এই প্রচেষ্টার কারণেই পরের বছর ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গার ঘটনা ঘটে।
এই অভিযোগ তদন্তকারী গ্র্যান্ড জুরি মঙ্গলবার তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে ওয়াশিংটন ডিসির কোর্টহাউযে আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন।