স্টকহোমে দ্বিতীয় ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মিনিস্টেরিয়াল ফোরামে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী।
বাসস জানায়, শনিবার স্টকহোমে দিনব্যাপী ফোরামের সম্মেলনে তিনি বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। এর পাশাপাশি তিনি বেলজিয়ামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাদজা লাহাবিব, বৃটেইনের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী লর্ড আহমদ এবং পর্টুগালের সেক্রেটারি অব স্টেট ফ্রান্সিসকো আন্দ্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
আন্দ্রে বৈঠকে মন্ত্রী হাছান মাহমুদকে জানান, তার সরকার আগামী বছরের মধ্যে ঢাকায় একটি কনস্যুলার মিশন খোলার প্রক্রিয়া হাতে নিয়েছে। এতে করে বাংলাদেশিদের পর্তুগাল ভ্রমণ সহজ হবে।
বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী এ উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
ফ্রান্সিসকো আন্দ্রে পর্টুগালে উদ্যোক্তা হিসেবে বাংলাদেশিদের কর্মকাণ্ড ও পরিশ্রমী মনোভাবের প্রশংসা করে বলেন, পর্তুগিজ সমাজের সঙ্গে মিলেমিশে তারা অর্থনীতিতে ইতিবাচক অবদান রাখছে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহযোগিতা করবে বৃটেইন ও বেলজিয়াম
বৃটেইনের মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ এশিয়া, উত্তর আফ্রিকা ও জাতিসংঘ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী লর্ড আহমদের সঙ্গে বৈঠকে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বাংলাদেশ ও বৃটেইনের মধ্যে বহুমুখী সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনায় বৃটেইনের প্রতিমন্ত্রী আশ্বাস দিয়ে বলেন, তার দেশ রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে সমর্থন দেয়া অব্যাহত রাখবে এবং রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে স্থায়ী প্রত্যাবর্তন নিশ্চিতে সক্রিয় থাকবে।
বৈঠকে তারা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সহযোগিতা এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ে বিশেষ আলোকপাত করেন। বৃটেইনের প্রতিমন্ত্রী এ সময় রাজা তৃতীয় চার্লস ও রানি ক্যামিলার ঐতিহাসিক অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান এবং তার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন।
বেলজিয়ামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাদজা লাহাবিবের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা হয়। বেলজিয়ামের মন্ত্রী এ বিষয়ে আন্তরিক সহায়তার মনোভাব জানান। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়ানোর ওপরেও জোর দেন তারা।
