বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সোমবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিষয়ে চিঠিতে যে তথ্য আছে, বাস্তবতার সঙ্গে তা মিলছে না। এগুলো (সংখ্যালঘুদের নিয়ে চিঠির তথ্য) সত্য নয়।’
মন্ত্রী বলেন, এ ধরনের চিঠি পাঠানোর আগে যথাযথ যাচাই-বাছাই প্রয়োজন।
দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল লবিস্ট নিয়োগ করছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘আল্লাহর দোহাই, দেশকে ধ্বংস করবেন না। এই দেশ সবার।’
তবে এ সময় তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের নাম বলেননি।
মোমেন দেশের দেশের কল্যাণে লবিস্ট নিয়োগের পরামর্শ দেন। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, যেমন বাংলাদেশে কীভাবে জ্বালানি সরবরাহ বাড়ানো যায় এবং কীভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ানো যায় ইত্যাদি।
আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সরকার অত্যন্ত স্বচ্ছ।
‘সহিংসতামুক্ত সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে সব রাজনৈতিক দলকে আন্তরিকতা ও অঙ্গীকার দেখাতে হবে।’
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমন্ত্রণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অ্যামেরিকায় একটি রাষ্ট্রীয় সফরে আসছেন, যার মধ্যে ২২ জুন একটি রাষ্ট্রীয় নৈশভোজ থাকবে।
সেখানে বাংলাদেশ ইস্যু থাকবে কি না জানতে চাইলে মোমেন বলেন, ‘তাদের যা ভালো লাগবে তা নিয়ে আলোচনা করবেন।
‘ওই বৈঠক নিয়ে আমার কথা বলার কিছু নেই। ভারত একটি পরিণত গণতান্ত্রিক দেশ। ভারতের খুব শক্তিশালী নেতৃত্ব রয়েছে।’
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্ভাব্য চায়না সফর সম্পর্কে জানতে চাইলে মোমেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চায়না যাচ্ছেন এটা ভুল বক্তব্য।’
‘চাইনিজ পক্ষ সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল, কিন্তু বাংলাদেশ জানিয়েছিল যে প্রধানমন্ত্রী সেই সময় নিউইয়র্কে থাকবেন।’
সফর পুনঃনির্ধারণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পুনঃনির্ধারণের বিষয়ে আমি জানি না।’
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন জানান, সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের সঙ্গে তার খুব ভালো বৈঠক হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক বিষয়ে আলোচনা করেছি। আমি খুব আনন্দিত। তারা আমাদের অনেক সম্মান দেখিয়েছে।’