আলফা-গ্যাল সিন্ড্রোম: টিকের কামড়ে বাড়ছে মাংসের অ্যালার্জি

টিবিএন ডেস্ক

জুলাই ২৮ ২০২৩, ১৬:৫৪

লোন স্টার টিক। ছবি: এপি

লোন স্টার টিক। ছবি: এপি

  • 0

গবেষকরা বলছেন, অ্যামেরিকানদের মধ্যে টিকের কামড়ের ফলে বিরল মাংসের অ্যালার্জি আলফা-গ্যাল সিন্ড্রোমে আক্রান্তের হার বাড়ছে। সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে জানিয়েছে, ইতোমধ্যে অ্যামেরিকাজুড়ে অন্তত ৪৫০ হাজার মানুষ এই অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হয়েছে।

বিভিন্ন ধরণের মাংস বা প্রাণীর পণ্য থেকে ছড়িয়ে যাওয়া এ অ্যালার্জিতে প্রাণ হারানোর ঝুঁকিও তৈরি হয়।

একমাত্র লোন স্টার টিকের (অ্যাম্বলিওম্মা অ্যামেরিকানাম) লালা থেকে আলফা-গ্যাল সনাক্ত করেছেন অ্যামেরিকান বিজ্ঞানীরা। বিরল এই টিকটিকে তার পিঠের সাদা দাগের মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়।

মূলত অ্যামেরিকার দক্ষিণ ও পূর্ব অংশে এই পোকাটি দেখা যায়। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তাদের পরিধি বাড়ছে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

লোন স্টারের কামড়ে আক্রান্ত কোনো স্তন্যপায়ী প্রাণীর মাংস কিংবা প্রাণীপণ্য খাওয়ার সময় একজন ব্যক্তি অ্যালার্জি আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে।

আলফা-গ্যাল সিনড্রোমে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য বিপজ্জনক খাবারের তালিকায় রয়েছে শুকরের মাংস, গরুর মাংস, খরগোশ, ভেড়ার মাংস, ভেনিসন, জেলাটিন, দুধ, কিছু দুগ্ধজাত পণ্য ও নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ।

এই অ্যালার্জির খুব অল্প কিছু লক্ষণ এ পর্যন্ত শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে পেটে ব্যাথা, ডায়ারিয়া, ত্বকের র‍্যাশ ও শ্বাসকষ্ট যা মারাত্মক অ্যানাফাইল্যাক্সিসের কারণ হতে পারে।

আলফা-গ্যাল সিনড্রোমের আক্রান্ত ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে ভিন্ন হতে পারে। সিডিসির দাবি, আক্রান্ত কেউ হালকা অসুস্থতা বোধ করতে পারেন। কারও ক্ষেত্রে গুরুতর কিংবা প্রাণঘাতীও হতে পারে।

অ্যানাফাইল্যাক্সিস দেহের একাধিক অঙ্গের সঙ্গে জড়িত একটি সম্ভাব্য প্রাণঘাতী শারীরিক অবস্থা। এতে আক্রান্তদের জরুরি চিকিৎসা ও যত্নের প্রয়োজন হতে পারে।

মেডিক্যাল বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সব আলফা-গ্যাল এক্সপোজারের পরে আক্রান্তদের অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া নাও থাকতে পারে।

মানব দেহে মাংস হজমে বেশ সময় লাগে। ফলে আলফা-গ্যাল সিনড্রোমের লক্ষণগুলো শনাক্তেও বেগ পেতে হয়।

আলফা-গ্যাল ছাড়াও টিক বাইটে লাইম রোগের মতো বেশ কয়েকটি বিপজ্জনক অসুস্থতা দেখা দিতে পারে।

সিডিসি বলছে, ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত টিকের কামড়ের ১ লাখ ১০ হাজারের বেশি কেস শনাক্ত হয়। আক্রান্তের সংখ্যা ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রতি বছরে প্রায় ১৫ হাজার করে বেড়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বাইরে বের হওয়ার সময় পুরো শরীর ঢেকে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। এছাড়া গায়ে টিক বাইট আছে কিনা তার জন্য নিয়মিত তাদের শরীর পরীক্ষা করার জন্য সতর্ক করেছেন।


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন