ইরান সমর্থিত লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী দেশটির সীমান্তে শত্রু সেনাদের লক্ষ্যবস্ত করার ঘোষণার পর ইযরায়েল সুনির্দিষ্ট এই স্থল অভিযান শুরু করেছে। লেবানন থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি একথা জানিয়েছে।
লেবাননের একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, দক্ষিণ বৈরুতে ইযরায়েল অন্তত ছয়দফা হামলা চালিয়েছে। এছাড়া সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম বলেছে, রাজধানী দামেস্কের আশেপাশেও ভয়াবহ হামলা চালানো হয়েছে।
সহিংসতা বন্ধে আন্তর্জাতিক আহ্বান উপেক্ষা করেই ইযরায়েল এ হামলা চালিয়েছে এবং হিজবুল্লাহ’র বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেছে।
ইযরায়েলের সেনাবাহিনী বলেছে, দক্ষিণ লেবাননের সীমান্ত-সংলগ্ন গ্রামগুলোয় হিজবুল্লাহর লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলার সমর্থনে স্থল অভিযানও শুরু হয়েছে। এর আগে ইযরায়েলের রাজনৈতিক নেতারা এ অভিযানের অনুমিত দেয়। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এর মধ্য দিয়ে লেবাননে ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে ইযরায়েলের লড়াই নতুন মাত্রা পেয়েছে।
এদিকে অ্যামেরিকান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সোমবার ইযরায়েলি স্থল অভিযানের বিরোধিতা করে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী বলেছে, ইযরায়েলের স্থল হামলা মোকাবেলায় তারা প্রস্তুত।
এদিকে সিরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা সানা বলেছে, দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রাজধানী দামেস্ক এলাকায় তিনদফা হামলা প্রতিহত করেছে। তবে ইযরায়েলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করা হয়নি।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে রাজধানী বৈরুতসহ লেবাননের বিভিন্ন জায়গায় হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে জোরালো হামলা শুরু করে ইযরায়েলি বাহিনী। গত শুক্রবার বৈরুতের দক্ষিণে ইযরায়েল বোমা হামলা চালিয়ে হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যা করেছে। এদিকে ইযরায়েলি হামলার কারণে লেবাননে ইতিমধ্যে ১০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় ইযরায়েল ও হামাসের মধ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হলে হিজবুল্লাহর সাথে তেলআবিরের পুরনো বিরোধ তীব্র রূপ নেয়। হিজবুল্লাহ হামাসের সমর্থনে ইযরায়েল লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে আসছিল। ইযরায়েলও এসব হামলার পাল্টা জবাব দিয়ে আসছিল। লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি অ্যামেরিকা ও ফ্রান্সের সাম্প্রতিক প্রস্তাবের ভিত্তিতে যুদ্ধবিরতি এবং লেবাননের বিরুদ্ধে ইযরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।