এই দলে আছেন অ্যামেরিকার দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু এবং ইউএসএইডের এশিয়া ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর অঞ্জলি কৌর।
প্রতিনিধিদলটি বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টার দিকে ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইটে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছায়। তাদের স্বাগত জানান ইউএনএইচসিআর, আইএমও ও আরআরআরসি অফিসের কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা।
প্রতিনিধিদলটি এরপর সড়ক পথে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের উদ্দেশে রওনা দেয় এবং সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ উখিয়ার বালুখালীর ৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছায়।
প্রতিনিধিদলের সদস্যরা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তারা জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার পরিচালনাধীন সেবা ও সহযোগিতা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
উখিয়ার বিশেষায়িত হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে বিকেলে শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ে একটি বৈঠকের কথা রয়েছে।
ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সফরের তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবার সকালে জেয়া বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। একই দিনে তিনি বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে দেখা করবেন। তিনি পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজসভায় অংশ নেবেন।
অ্যামেরিকার স্টেইট ডিপার্টমেন্ট গত শনিবার জানায়, জেয়া বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট, শ্রম সমস্যা, মানবাধিকার, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং মানব পাচারের বিরুদ্ধে লড়াইসহ মানবিক উদ্বেগ সৃষ্টিকারী বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
ঢাকায় যাওয়ার আগে তিনি ভারত সফর করেছেন।
আন্ডার সেক্রেটারি জেয়া এর আগে গত বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরানের সঙ্গে দেখা করেন এবং একটি ‘ফলপ্রসূ’ আলোচনা করেন।
তিনি এরপর এক টুইটে বলেন, ‘গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ন্যায্য শ্রম চর্চা এবং মানবিক সহযোগিতার বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনার জন্য অ্যামেরিকায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরানকে ধন্যবাদ। আমি আমাদের শক্তিশালী অংশীদারত্ব আরও গভীর করতে উন্মুখ।’