এইচ-১বি ভিসা প্রোগ্রামে দুর্নীতি:
১৭৫টি তদন্ত অভিযান শুরু, উঠে আসছে চমকপ্রদ অনিয়ম

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ৯ ২০২৫, ৮:৪৬ হালনাগাদ: নভেম্বর ১৬ ২০২৫, ৩:১৩

প্রজেক্ট ফায়ারওয়াল চালু করার সময় প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প একটি ঘোষণা স্বাক্ষর করেন। ছবি: টাইমস অফ ইন্ডিয়া

প্রজেক্ট ফায়ারওয়াল চালু করার সময় প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প একটি ঘোষণা স্বাক্ষর করেন। ছবি: টাইমস অফ ইন্ডিয়া

  • 0

ডিওএল সেপ্টেম্বর মাসে প্রোজেক্ট ফায়ারওয়াল চালু করে যাতে নিশ্চিত করা যায় যে নিয়োগকর্তারা প্রথমে অ্যামেরিকানর নাগরিকদের কাজের সুযোগ দিচ্ছেন

অ্যামেরিকার লেবার ডিপার্টমেন্ট (ডিওএল) সম্প্রতি এইচ-১বি ভিসা প্রোগ্রামের সম্ভাব্য দুর্নীতি খতিয়ে দেখার জন্য কমপক্ষে ১৭৫টি তদন্ত শুরু করেছে।

ফক্স নিইজের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডিওএল সেপ্টেম্বর মাসে প্রোজেক্ট ফায়ারওয়াল চালু করে যাতে নিশ্চিত করা যায় যে নিয়োগকর্তারা প্রথমে অ্যামেরিকানর নাগরিকদের কাজের সুযোগ দিচ্ছেন এবং ভিসা প্রোগ্রামকে অন্যভাবে ব্যবহার করছেন না।

প্রজেক্ট ফায়ারওয়াল চালু করার সময় প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প একটি ঘোষণা স্বাক্ষর করেন, যার মাধ্যমে এইচ-১বি ভিসা পিটিশনে একবারের জন্য ১ লাখ ডলার ফি আরোপ করা হয়।

লেবার ডিপার্টমেন্ট ১৭৫টি তদন্তের বিস্তারিত উল্লেখ করেনি, তবে এই তদন্তগুলোর সাথে কর্মচারীদের ১৫ মিলিয়নেরও বেশি বেতনের অনিয়ম জড়িত ছিল।

তদন্তের মাধ্যমে অনেক উদ্বেগের বিষয় উঠে এসেছে। এর মধ্যে একটি হলো, কিছু বিদেশি কর্মী যারা উচ্চশিক্ষিত, তাদের বেতন কাজের বর্ণনায় উল্লেখ করা পরিমাণের চেয়ে অনেক কম দেওয়া হয়েছে।

এই সমস্যা ভিসাধারী এবং অ্যামেরিকান কর্মীদের উভয়ের বেতন কমিয়ে দিয়েছে, এবং প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য একই শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন অ্যামেরিকান কর্মীদেরও কম বেতনে কাজ করতে বাধ্য করেছে ।

তদন্তে দেখা গেছে, কিছু নিয়োগকর্তা এইচ -১বি ভিসাধারীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করলে ইউএস সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস কে জানাতেন না অথবা বরখাস্তের এবং এজেন্সিকে জানানোর ক্ষেত্রে অনেক দেরি করা হত।

আরেকটি উদ্বেগের বিষয় ছিল লেবার কন্ডিশন অ্যাপ্লিকেশন (এলসিএ) নামে একটি ফর্ম, যা নিয়োগকর্তাদের এইচ -১ বি, এইচ -১ বি ১, এবং ই -৩ ভিসা প্রোগ্রামে বিদেশি কর্মী নিয়োগ করার আগে লেবার ডিপার্টমেন্টে জমা দিতে হয়।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, এলসিএ ফাইল করার সময় নিয়োগকর্তাদের অবশ্যই আমেরিকান কর্মীদের জানাতে হবে যে তারা বিদেশি কর্মী নিয়োগ দিতে চলেছে।

তদন্তে আরও প্রকাশ পেয়েছে, অনেক এলসিএ‑তে উল্লেখিত কর্মস্থল বাস্তবে ছিল না, বা কর্মীরা তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে জানতেও অজ্ঞাত ছিলেন, যা ফর্মে উল্লেখ করা কাজের সঙ্গে মেলেনি।

এছাড়া তদন্তে আরও দেখা গেছে, কর্মচারীদের বেতন এলসিএ‑তে উল্লেখিত পরিমাণের চেয়ে কম দেওয়া হচ্ছিল। নিয়োগকর্তারা আমেরিকান কর্মীদের জন্য চাকরির বিজ্ঞাপন কপি‑পেস্ট করছিলেন, যা এলসিএ‑তে বর্ণিত কাজের সঙ্গে প্রায় কোনও সম্পর্কই ছিল না।

প্রতিবেদনে বলা হয়ছে, কিছু এইচ -১ বি ভিসাধারী কর্মীদের প্রকল্পে যুক্ত থাকাকালীন বেতনও দেওয়া হচ্ছিল না।