এবারের শাটডাউনে অ্যামেরিকায় এক দিনে সর্বোচ্চ ফ্লাইট বিলম্ব কিংবা বাতিলের ঘটনা ঘটে রবিবার।
ইউএসএ টুডে জানায়, ওই দিন সরকারি আদেশে অ্যামেরিকার গুরুত্বপূর্ণ ৪০টি বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা সীমিত করতে বাধ্য হয় কোম্পানিগুলো।
ফ্লাইট ট্র্যাকিং প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইটঅ্যাওয়ারের ডেটা অনুযায়ী, রবিবার ইস্টার্ন টাইম-ইটি রাত ১০টা নাগাদ অ্যামেরিকার মধ্যে বা বাইরে থাকা ১০ হাজারের বেশি ফ্লাইট দেরিতে গন্তব্যে রওনা হয়। একই দিনে বাতিল হয় তিন হাজার ২০০টি ফ্লাইট।
শাটডাউনের পর একক কোনো দিন হিসেবে রবিবারই সবচেয়ে বেশি বিঘ্ন ঘটে বিমান সেবায়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ফ্লাইট বিঘ্নজনিত সমস্যায় সবচেয়ে বেশি পড়ে ডেল্টা এয়ারলাইন্স, যাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত ৫২ শতাংশ ফ্লাইট বিলম্ব কিংবা বাতিলের শিকার হয়।
কর্মীর স্বল্পতায় ঘনীভূত সংকট
শাটডাউনে মারাত্মক কর্মী স্বল্পতার ফলে ফ্লাইটের সামর্থ্য কমিয়েছে ফেডারেল সরকার, যার ফলে বিমান চলাচলের এ সংকট ঘনীভূত হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন দেশের ৪০টি গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দরে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট ৪ শতাংশ কমানোর নির্দেশনা দিয়েছেন, যা বাস্তবায়ন শুরু হয় গত শুক্রবার। শাটডাউন অব্যাহত থাকলে ফ্লাইট কম চলাচলের হার বেড়ে ১০ শতাংশ হতে পারে বলে জানায় সিএনবিসি।
এমন বাস্তবতায় ট্রান্সপোর্টেশন সেক্রেটারি শন ডাফি সতর্ক করেন, সরকারে অচলাবস্থা অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।
তিনি সিএনএনকে জানান, ছুটির ভ্রমণ মৌসুমে ফ্লাইট চলাচল প্রয়োজনের তুলনায় সামান্য হতে পারে।