ওয়াশিংটন ডিসিতে বুধবার বিবিসির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।
ডেনিস শ্যামিহাল বলেন, ‘আমরা যদি রক্ষা না করি... ইউক্রেইনের পতন হবে, সুতরাং বিশ্বের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাবে... এবং সমস্ত বিশ্বকে একটি নতুন নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুঁজে বের করতে হবে।
‘অথবা এই ধরনের অনেক যুদ্ধ হবে এবং দিনের শেষে এটি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে যেতে পারে।’
এটিই প্রথম নয় যে ইউক্রেইন তার সম্ভাব্য পরাজয়ের পরিণতি সম্পর্কে এমন উদ্বেগজনক সতর্কতা জারি করেছে।
গত বছর ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির যেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়া যদি যুদ্ধে জয়ী হয় তবে এটি পরবর্তীতে পোল্যান্ড আক্রমণ করতে পারে যা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূত্রপাত করবে।
হাউয অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস এই শনিবার সহায়তা প্যাকেজের ওপর ভোট করবে।
হাউযের রিপাবলিকান স্পিকার মাইক জনসন সহায়তা প্যাকেজটি ভোটে তুললেও সংখ্যাগরিষ্ঠ রিপাবলিকান ও উদারপন্থি ডেমোক্র্যাট কিছু সদস্য বিলটির তীব্র বিরোধীতা করে আসছেন।
যদিও ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বুধবার বিলটি পাস হলে স্বাক্ষর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তবে এটিকে হাউয ও সেনেটে পাস হতে কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে।
সাক্ষাৎকারে ডেনিস শ্যামিহাল বিলটি অ্যামেরিকান আইন প্রণেতারা পাস করবেন বলে সতর্ক আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। বিলটিতে কিয়েভের জন্য ৬১ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা বরাদ্দ রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের এই অর্থ গতকালে প্রয়োজন ছিল; আজ নয়, কাল তো নয়ই।’
রাশিয়া অবশ্য বলেছে, ইউক্রেইনের জন্য নতুন অ্যামেরিকান সাহায্য যুদ্ধক্ষেত্রে কোন পার্থক্য করবে না, কারণ যুদ্ধের ফ্রন্ট লাইনের পরিস্থিতি কিয়েভের জন্য প্রতিকূল।
ইউক্রেইন পশ্চিমাদের তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয় দেখানোর মতো দাবিগুলোকে উপহাস করেছেন ক্রেমলিনের কর্মকর্তারা।
গত মাসে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়া পূর্ব ইউরোপের দিকে আক্রমণ বাড়াতে পারে এমন সন্দেহকে প্রত্যাখ্যান করে একে ‘সম্পূর্ণ বাজে কথা’ উল্লেখ করেছেন।