বিবিসি জানায়, ইযরায়েলের জেরুজালেমে স্থানীয় সময় বুধবার বৃটেইনের পররাষ্ট্র সচিব লর্ড ক্যামেরনের সঙ্গে এক বৈঠকের পর উপস্থিত সাংবাদিকদের এ কথা জানান নেতানিয়াহু।
ইযরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এটা পরিষ্কার করতে চাই যে আমরা আমাদের নিজেদের সিদ্ধান্ত নেব এবং ইযরায়েল রাষ্ট্র নিজেদের রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু করবে।’
বৈঠকে ক্যামেরনকে তিনি মধ্যপ্রাচ্যের চলমান উত্তেজনা প্রতিরোধে সহায়তা করবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
নেতানিয়াহু বারবার ইরানের অভূতপূর্ব ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলার প্রতিশোধ নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
আলোচনায় লর্ড ক্যামেরন তাকে বলেছেন, ইরানের ওপর যে কোনও প্রতিক্রিয়া ‘স্মার্ট’ এবং ‘সীমিত’ হওয়া উচিত।
সাংবাদিকদের লর্ড ক্যামেরন জানান, ইরানের ভয়াবহ হামলার পর বৃটেইনের ‘সংহতি’ প্রদর্শন করতে তিনি ইযরায়েলে এসেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি যে ইযরায়েল যা কিছু করবে তা যতটা সম্ভব সীমিত ও লক্ষ্যবস্তুতে স্মার্ট উপায়ে হওয়া উচিত।
‘এটা কারও স্বার্থে নয় যে আমরা ক্রমবর্ধমানভাবে বিষয়টি বলছি এবং আমি এখানে ইযরায়েলের যাদের সঙ্গে কথা বলেছি, তাদের কাছে আমরা খুব স্পষ্টভাবে বিষয়টি বলেছি।’
অ্যামেরিকা, বৃটেইনসহ পশ্চিমা দেশগুলো এ অঞ্চলে বৃহৎ যুদ্ধের সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং তাদের মিত্র ইযরায়েলকে ইরানে হামলার বিষয়ে সংযমের আহ্বান জানিয়ে আসছে।
তবে, নেতানিয়াহুর এ মন্তব্য পশ্চিমা দেশগুলোকে বিশ্বাস করাতে বাধ্য করাবে যে- ইযরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত।
নেতানিয়াহুর সঙ্গে দেখা করার আগে লর্ড ক্যামেরন ইযরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগ, পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী ইযরায়েল কাটজ ও অধিকৃত প্যালেস্টাইন অঞ্চলের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মোস্তফার সঙ্গে আলোচনা করেন এবং এ অঞ্চল পরিদর্শন করেন।
ইটালিতে জড়ো হওয়া জি-সেভেন দেশগুলোর মন্ত্রীদের লর্ড ক্যামেরন ইরানের ওপর সমন্বিত নিষেধাজ্ঞার জন্য চাপ দেবেন বলে অনুমান করা হচ্ছে।
এর আগে, তিনি তেহরানকে মধ্যপ্রাচ্যে যাবতীয় ‘ক্ষতিকারক কার্যকলাপের’ পেছনে দায়ী বলে অভিযুক্ত করেন এবং ইরানের প্রভাব সীমিত করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণে অন্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।